
বাবলু প্রামাণিক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা : বাঘ তাড়াতে গিয়ে বাঘের থাবায় জখম এক বনকর্মী। আতঙ্কিত কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রবিবার বিকেলে রাজকুমার সাঁফুই নামে এক যুবক নগেনাবাদ নয় নম্বর মুলার জেটি ঘাটের কাছে একটি বাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তখনই বাঘ বাঘ করে চিৎকার করে যুবকটি সাইকেল ফেলে দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বাঘের আতঙ্ক। খবর পাওয়া মাত্রই যুবকটির জ্যাঠামশাই শম্ভু সাফুঁই লাঠি হাতে এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভের ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে এসে দেখেন বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ। ততক্ষণে বাঘটি লোকজনের আওয়াজ পেয়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে বাঘটি।খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরের রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত নলগোড়া বিট অফিসে ও স্থানীয় মৈপীঠ উপকূল থানায়। বাঘ ঢোকার খবর পেয়ে দ্রুত নৌকায় জাল নিয়ে পৌঁছায় বনকর্মীরা। এরপর যাতে বাঘটি কোনভাবে রাতের অন্ধকারে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়তে না পারে সেই জন্যই সম্পূর্ণ গ্রামটি জাল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়।
বাঘটি মূলত বৈঠাভাঙি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঠাকুরান নদীর শাখা ওরিয়াননালা পেরিয়ে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাঘটি যাতে রাতের অন্ধকারে নিজের জঙ্গলে ফেরত যেতে পারে সে জন্য জঙ্গলের দিকটা খুলে রাখা হয়েছিল বনদফতরের পক্ষ থেকে। সোমবার সকালে বাঘটিকে জঙ্গল সংলগ্ন একটি বাগানের ভিতর দেখতে পাওয়া যায়। তখন কয়েকজন বন কর্মী বাঘটিকে তাড়াবার চেষ্টা করেন।সেই সময় অন্যমনস্ক এক বনকর্মীর গায়ের উপর থাবা বসায় বাঘটি ও তাঁর হাতে কামড় দেয়। ।তৎক্ষণাৎ অন্য বনকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে।
সুত্র মারফত জানা যায়, উদ্ধার করার পর স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।
ভিডিও দেখুন-