
ওঙ্কার ডেস্কঃ যে কোনো সাসপেন্স থ্রিলারকে টেক্কা দেবে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন জনবহুল মেট্রোপলিটনে তরুণীর উপর হামলা ও খুনের ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে চায়ের দোকানে এক তরুণীকে কুপিয়ে খুন করে মাও ছেলে। পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে ওই তরুণীর উপর হামলা বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। আক্রান্ত তরুণীকে বৃহস্পতিবার রাতেই ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। মৃত তরুণীর নাম রফিয়া সাকিল শেখ। তাঁর শরীরে একাধিক ছুরির কোপ বসানো হয়েছিল। ঘটনায় এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনজনের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, মহম্মদ ফারুক আনসারির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রফিয়া সাকিল শেখ। তাঁরা দু’জন বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ বাইপাসের ধারে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসেছিলেন। সেই সময়ে আচমকা তাঁদের উপর চড়াও হন তিন জন। ফারুকের স্ত্রী শাহজাদি ফারুক এবং তাঁদের ১৬ বছরের পুত্র ছাড়াও ছিলেন ওয়াসিম আক্রম নামের এক যুবক। তাঁদের দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ফারুক। তাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিনজন মিলে তরুণীর উপর চড়াও হলেও মূল আঘাত করে নাবালক। তাকে বহুবার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও তরুণীকে উদ্ধার করে এনআরএসে ভর্তি করে। কিন্তু শেষ অবধি মারা যায় ওই তরুণী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফারুক গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে রফিয়াকে নিয়ে একটি গাড়ি করে বাইপাসে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী, পুত্র অন্য একটি গাড়িতে তাঁকে জিপিএস লোকেশন দেখে অনুসরণ করেন। ঘটনার সময়ে সেই গাড়ির চালক পালিয়ে যান, তাই ঘটনার পর সহজে পালাতে পারেনি অভিযুক্তরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ এবং ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ফারুক আনসারির খোঁজ চালাচ্ছে তারা।
এভাবে জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় কলকাতার নিরাপত্তার বিষয়টি ফের প্রশ্নের মুখে পড়লো। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটানায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কটাক্ষ করেছেন। যদিও তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো।