
অপরূপা কাঞ্জিলাল: বিগত কয়েকদিন ধরেই চলছিল নানা ধরনের আলোচনা। অবশেষে না জানি কত মহিলা অনুরাগীর হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে নামের পাশে বিবাহিত তকমা লাগিয়ে নিলেন আদরের উচ্ছেবাবু ওরফে আদৃত। এক স্বপ্নের মতো সুন্দর বিয়ে দিয়ে,মন মাতিয়ে রাখলেন তাঁরা নিজেদের অনুরাগীদের।
বৃহস্পতিবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছিল গোটা বাংলা। তবে তারই মাঝে তারকারা খচিত বিয়ের আসর বসেছিল হাওড়ার রামরাজাতলার এক ব্যাঙ্কোয়েটে। সেখানে এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল অতিথিদের জন্য। সৌমিতৃষা ছাড়া গোটা মিঠাই পরিবারকে দেখা যায় আদৃত এবং কৌশাম্বির বিয়েতে। এসেছিল ফুলকি ধারাবাহিকের সমস্ত কলাকুশলীরা। উল্লেখ্য মিঠাই ধারাবাহিকের সেট থেকে শুরু হয় তাঁদের প্রেম কাহিনি। আর সেই প্রেম কাহিনি গত ৯ মে নতুন ধাপে উন্নীত হল। তাই তো বিয়ের আসরে উঠলো মিঠাই ধারাবাহিকের পিক লাইন “জয় গোপাল” ধ্বনিও।
বিয়ের আগে সেভাবে আদৃত সমাজিক মাধ্যমে ছবি না দিলেও বিয়ের পর ১০ মে প্রথম আদুরে পোস্ট করলেন আদৃত রায়। তিনি ফেসবুকের পাতায় তাঁর এবং কৌশাম্বির একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁদের সিঁদুরদানের পর তিনি নতুন স্ত্রীকে কোলে তুলে নিয়েছেন।বিয়ের পর প্রথম ছবি শেয়ার করলেন অভিনেতা।আপাতত তাঁদের বিয়ের ছবি-ভিডিয়ো-তে ভরে আছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিয়েতে কনের গায়ে ছিল লাল বেনারসি, বরের হলুদ রঙের পঞ্জাবি।লাল রঙের বেনারসির সাথে কৌশাম্বি গা ভরা সোনার গয়না পরেছিলেন। বিয়ে করতে আসা আদৃত হলুদ রঙের পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা ধুতি মাথায় টোপর, গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন।
এক্কেবারে ট্র্যাডিশনাল বাঙালি বর কনে। সাথে মেনুতেও ছিলো বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। কি ছিল সেদিনের রসনা তৃপ্তির জন্য? শুরুতেই ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস নানা ধরনের মকটেল, সঙ্গে কফি-চা তো ছিলই। সঙ্গে মনপসন্দ নানা ধরনের স্ন্যাক্স। মেন কোর্সে ছিল ফিশ ফ্রাই, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, মাটন বিরিয়ানি এবং মুর্গ লাহোরি।আমিষের পাশাপাশি নিরামিষ পদের বাহারও ছিল বিয়ের আসরে। সেখানে বিরিয়ানির বদলে পোলাও, অন্যদিকে মাটন বা চিকেনের বদলে পনীর প্রাধান নানা পদ ছিলো।অন্যদিকে শেষপাতে মিষ্টিমুখ করার জন্য ডেসার্টের তালিকাটাও ছিল বেশ লম্বা ফিরনি থেকে ম্যাঙ্গো সুফলে, কেশর রসমালাই এবং আরও নানা রকমের মিষ্টি। এক কথায় আদরে সোহাগে বাঙালিয়ানার আবহে রূপকথার বিয়ের সাক্ষী হলো শহর।