
ওঙ্কার ডেস্কঃ দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুর বিটিএম দ্বিতীয় স্টেজের কাছে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে বৃষ্টির জমে থাকা জল পরিষ্কারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অতিভারী বর্ষণের জেরে শহরে বন্যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। নিহতদের একজন, ৬৩ বছর বয়সি মনমোহন কামাথ, এনএস পাল্যার মধুবন অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ তিনি সেলারে জমে থাকা জল সরাতে একটি ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করছিলেন। প্লাগ ইন করার পরই শর্ট সার্কিট হয় এবং তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। একই সময়ে, ওই কমপ্লেক্সেই কর্মরত এক নেপালি কর্মচারীর ১২ বছর বয়সি ছেলে, দীনেশ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পৃথকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
এর আগে পূর্ব বেঙ্গালুরুতে একটি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। মৃতের নাম শশিকলা (৩৫)। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সোমবার সকালে কাজে বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এলাকারই একটি বাড়ি দেওয়াল ভেঙে পড়ে তাঁর উপর। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যান তিনি। তাঁকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
শনিবার বিকেল থেকেই বেঙ্গালুরু এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একনাগাড়ে বৃষ্টি চলতে থাকে। সময় যত গড়িয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণও বেড়েছে। শহরের নানা জায়গায় জল জমতে শুরু করে। ওয়াটার লগিং-এর জেরে নাস্তানাবুদ হয় শহরের জনজীবন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন। খোলা হয়েছে মনিটারিং সেল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেস সরকারকে দুষেছে বিজেপি।