
উজ্জ্বল হোড়, ওঙ্কার বাংলা: নেই কোনো বিজ্ঞাপন, নেই আধুনিক রঙচঙের মোড়ক। তবুও শীত পড়লেই ভাকা পিঠেতে মজেন আট থেকে আশি। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ধূমায়িত ভাকা পিঠের উনুনের পাশে ভিড় জমান রসনা প্রিয় মানুষ। শীতের মরসুমে উত্তরবঙ্গের গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র দেখা যায় এমন দৃশ্য। বিশেষ এই পিঠের প্রচলিত নাম ভাকা, মূলত আতপ চালের গুঁড়োর সঙ্গে গুড় বা চিনি মিশিয়ে গরম জলীয় বাষ্পের সাহায্যে প্রস্তুত করা হয় উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন এই খাবার। বর্তমানে প্যাকেজ ও ফাস্ট ফুডের রমরমাতে যে প্রাচীন এই পিঠের জনপ্রিয়তা কমেনি তা বোঝা যায় খুদে ক্রেতাদের ভিড় দেখে। হাতে গরম ভাকা পিঠে পেয়ে খুশি স্কুল ছাত্রী বর্ষা পাসোয়ান।
উত্তরের ঐতিহ্যকে বয়ে নিয়ে চলা সান্ত্বনা রায় পথের ধারে গাছের শুকনো ডালপালা জ্বালিয়ে ভাকা তৈরি করছেন। প্রতিটি ভাকা ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন তিনি।
বয়সকে উপেক্ষা করেই জাতীয় সড়কের ফ্লাই ওভারের নিচে সন্ধ্যে হতেই ছোট্ট উনুন নিয়ে সস্ত্রীক বসে পরেন অশ্বিনী রায়। পথের ধারের ঠাণ্ডা বাতাস থেকে বাঁচতে গায়ে মাথায় গরম পোশাক চাপিয়ে আজও তৈরি করেন ভাকা।
উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় খাবার ভাকার আজও অনেক চাহিদা। সারাদিন কাজ করে দিনের শেষে অনেকেই এই খাবার হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরেন কচিকাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে।
ভিডিও দেখুন-