
ওঙ্কার ডেস্ক : বুদ্ধ-যুগের অবসান. যেন একটা অধ্যায়ের অবসান ঘটলো ৮ আগস্ট, ২০২৪. না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য. নিজের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি. এরপর বৃহস্পতিবার বেলা ১২ নাগাদ পিস ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ. রাতভর সেখানেই শায়িত ছিলেন তিনি. শুক্রবার সকাল ১০.৩০ টা নাগাদ বুদ্ধবাবুর নিথর দেহ নিয়ে রাজ্য বিধানসভার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শববাহী গাড়ি.
১৯৮০-র দশক থেকে এই বিধানসভা সাক্ষী থেকেছে তাঁর কর্মকাণ্ডের. সেইখানেই কিছুক্ষণ রাখা হলো বুদ্ধবাবুর দেহ. আর বিদায়বেলায় যেন রাজনীতির সব রং মিলেমিশে এক হয়ে গেল. একসারিতে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী. উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যান্য বাম নেতা নেত্রীরা. বাম নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীরা.
অর্থাৎ, যেই সৌজন্যের রাজনীতির কথা বুদ্ধবাবু তাঁর একাধিক সাক্ষাৎকারে বলে এসেছেন, তাঁর শেষযাত্রায় বঙ্গবাসী দেখলো সেই বিরল সৌজন্যের রাজনীতি. রাজ্য বিধানসভার পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর অন্যতম প্রিয় গন্তব্য সিপিএম-এর রাজ্য সদর দফতর, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট. সেখান থেকে দীনেশ মজুমদার ভবন হয়ে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস-এ. সেখানে দেহদান হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর.