
অপরূপা কাঞ্জিলাল : প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগে রাজনৈতিক মহল।সকলেই জানতে চান কতটা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি? কতটা গুরুতর তার অসুখ? এখানে উঠে আসছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি নাম সি ও পি ডি অর্থাৎ ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। ২০১৮ সালে ভীষণই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, বাড়িতেই পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয় বুদ্ধবাবুর জন্য। ২৪ ঘণ্টাই নাকে লাগানো থাকত সেই অক্সিজেনের নল। অর্থাৎ গত প্রায় ৫ বছর ধরে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেই পারেননি তিনি। কিন্তু কারণটা কি? কারণ হিসাবে জানা যায় কাজে থাকলে বা বাড়িতে, ঘনিষ্ঠরা বলতেন, কখনওই সিগারেট ছাড়া দেখা যেত না তাঁকে। চেন স্মোকার ছিলেন তিনি।প্রায়ই বুকে ঘনঘন কফ জমে যাচ্ছেতাই অবস্থা হতো। সর্দি-কাশি হলে কমতেই চাইত না। জানা গেছে, ২০০৯ সালে চিকিৎসকরা রীতিমতো নিদান দিয়েছিলেন, ছাড়তেই হবে সিগারেট।২০১৭ সালে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন, অবশেষে ধূমপান ছেড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কারণ ততদিনে শ্বাসের সমস্যা ক্রমশ বদলে গেছিল ক্রনিক শ্বাসকষ্টে। তিন বছর আগে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বুদ্ধদেববাবুকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এই সিওপিডির সমস্যা তীব্র হওয়ায়। ৬ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরের বছর, ২০২১ সালের মে ফের কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধবাবু ও তাঁর স্ত্রী। প্রথম দিকে তাঁকে বাড়িতেই বাইপ্যাপের মাধ্যমে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল। পরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন আরও কমে যাওয়ায় ফের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তখনই সম্ভবত ফুসফুসের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। যার ফল স্বরপ এমন একটা উদ্বেগজনক সময় কাটাচ্ছেন তার ভালোবাসার মানুষেরা। মনে ভাসছে একটি লাইন স্মোকিং ইনজুরিয়াস টু হেলথ।