
অমিত কুমার দাস, কলকাতা : সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে একাধিক মামলা শুনানির জন্য ডাকা হলেও আইনজীবীদের এক পক্ষ এজলাসে হাজির হননি। একই অবস্থা দেখা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্হা, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য, বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক, বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত, বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর এজলাসেও। এছাড়াও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বসার পরেও উঠে যায়। এ ছাড়াও অনেক মামলায় আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় শুনানি না করেই ফিরে যান হাই কোর্টের অনেক বিচারপতি। শুনানি না হওয়ায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মামলাকারীরাও ফিরতে বাধ্য হন।
উল্লেখ্য, নতুন তিন ফৌজদারি আইন চালুর প্রতিবাদে শুনানি প্রক্রিয়া বয়কট করলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। হাইকোর্টের কোনও এজলাসেই শুনানির সময় তাঁরা উপস্থিত হননি। এছাড়াও অধিকাংশ মামলাতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীদেরও দাঁড়াতে দেখা যায়নি। ফলে মাসের প্রথম দিনেই তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বয়কটের কারণে ব্যাহত হাইকোর্টের শুনানির কাজ।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ নতুন তিন ফৌজদারি আইন সোমবার থেকেই চালু হয়েছে সারা দেশে। নতুন আইনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের তৃণমূল সেলের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক বলেন, ‘‘আইনজীবীরা ওই তিন আইন মেনে নিলে বিচারব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। আইনজীবীদের মতামত ওই আইনে প্রতিফলিত হয়নি। এক তরফা ভাবে ওই আইন পাশ করানো হয়েছে। এই আইন কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধন করা উচিত।’’