
নিজস্ব সংবাদদাতা : মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ফের শুনানি শুরু হয়। এই মামলাটির শুনানি চলে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় হাই কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা যায় না। পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলায় প্রথমে কারও চাকরি বাতিলের আবেদন করা হয়নি। এছাড়াও হাই কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয় সরকারি আধিকারিকরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলা হচ্ছে। টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে, এটা অনুমানের ভিত্তিতে বলা হয়েছে। সরকারি চাকরি টাকা দিয়ে হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। মামলাকারীদের আবেদন ছিল, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মামলার আগের শুনানি গত ৭ এপ্রিল নির্ধারিত ছিল, কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেন নিজেকে মামলার থেকে সরিয়ে নেওয়ায় এই শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট নতুন বেঞ্চ গঠন করে এদিন ফের শুনানি শুরু করে।
২০২৩ সালের ১৬ মে, কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক ঐতিহাসিক রায়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে নিযুক্ত প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও চাকরি হারানো শিক্ষকরা। পরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর বেঞ্চ হাইকোর্টের সেই রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেন। তারই মধ্যে মামলাটি পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত আবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় চূড়ান্ত শুনানির জন্য।