
অমিত কুমার দাস, কলকাতাঃ পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর শিশুকন্যা। ঘুণাক্ষরেও টের পাননি শিশুকন্যার মা-বাবা। যখন তাঁরা জানতে পারেন, বুঝতে পারেন, ততদিনে ২৩ সপ্তাহ ৬ দিনের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে শিশুকন্যাটি। দেশের আইন অনুযায়ী, চিকিৎসকরা ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। পরবর্তীতে গর্ভাপাত করতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। তাই বাধ্য হয়ে শিশুকন্যার বাবা-মা অন্তঃসত্ত্বা কন্যার গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়।
কিন্তু, এগারো বছরের শিশুকন্যার আদৌ গর্ভপাত সম্ভব! তা জানতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আদালত নির্দেশ দেয়, পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও তমলুক হাসপাতাল সুপারকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। পরের ৪৮ ঘণ্টায় নাবালিকার যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সোমবার রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতা হাই কোর্টে। সেদিনই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই শিশুকন্যার পরিবার জানতে পারেন তাঁদের কন্যা অন্তঃসত্ত্বা। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সাহায্যে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে শিশুকন্যার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে পুলিশ। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাড়ায় খেলতে গিয়েই গণধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুকন্যা। পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারা সকলেই নাবালক। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশে ধৃতরা বর্তমানে হোমে রয়েছে।