
অমিত দাস, কলকাতাঃ সিআইডির বিরুদ্ধে মানসিক নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে। তার অভিযোগ, স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত আকারে পাঠিয়েছেন প্রতাপচন্দ্র। এবিষয়ে তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসোসিয়েশনকেও চিঠি দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ে অভিযোগ করেন, আইনত পৈতৃক সম্পত্তি পেলেও তাঁর দাদার পরিবার তা থেকে তাঁকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। তাঁর আরও অভিযোগ, মারধরও করা হয় তাঁকে। যার প্রমাণ রয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। তিনি দাদার পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। তাঁর দাদার পরিবারের হয়ে মামলা লড়ছিলেন বিচারপতির স্বামী তথা আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে। বৃদ্ধার দাবি, স্ত্রীর পদমর্যাদা কাজে লাগিয়ে তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন প্রতাপচন্দ্র । বৃদ্ধার আরও অভিযোগ, বিচারপতির দফতরে ডেকে তাঁকে রীতিমতো ধমক দিয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বৃদ্ধা আদালতে দ্বারস্থ হন বৃদ্ধা।
জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না। এর পরই পদক্ষেপ নেয় সিআইডি। ভবানীভবনে বিচারপতির স্বামীকে তলব করা হয়।
আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে’র অভিযোগ, যে মামলার জন্য তাঁকে তলব করা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নও করা হচ্ছে না। পরিবর্তে তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করা করছে। বিচারপতি সিনহার নামে জোর করে মিথ্যা বয়ান দেওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। মিথ্যা বয়ান দিলে বাড়ি, গাড়ির প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে বলেও দাবি বিচারপতির স্বামীর।