
ওঙ্কার ডেস্ক: আলাপ হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। এরপর ক্রমশ কথা এগোয় দুজনের। তৈরি হয় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। আর সেই সুযোগ নিয়ে মহিলা চিকিৎসককে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। ইতিমধ্যে ওই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।
২৮ বছর বয়সী ওই মহিলা শুক্রবার নাগপুরের ইমামবাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আইপিএস অফিসারের বয়স ৩০ বছর। তার বিরুদ্ধে ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, ২০২২ সালের নভেম্বরে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তাদের আলাপ হয়। সেই সময় অভিযুক্ত ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এদিকে ওই তরুণী তখন এমবিবিএস কোর্সে পড়াশোনা করছিলেন। সমাজ মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর ফোনের মাধ্যমে তাদের দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়। উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। একসময় বন্ধুত্ব গভীর হলে অভিযুক্ত যুবক মহিলা চিকিৎসককে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।
ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে চাকরি পাওয়ার পর অভিযুক্ত যুবক তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। পূর্বের বিয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে বিয়ে করতেও অস্বীকার করে। তরুণী চিকিৎসকের কথায় কর্ণপাত না করায় অবশেষে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।