
ওঙ্কার ডেস্ক : ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকাকে একা পেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করল এক যুবক। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ছত্তীসগড়ের দুর্গে। নবরাত্রী উপলক্ষ্যে নিজের দিদার বাড়িতে গেছিল ৬ বছরের ওই শিশুটি। সেসময় পুজোর জন্য তার দিদা ছিলেন বাইরে। সেই সুযোগেই শিশুটিকে ধর্ষণ করে সোমেশ যাদব নামে এক যুবক। অভিযুক্ত সোমেশ যাদবের বয়স ২৪ বছর। পুলিশ জেনেছে, সে সম্পর্কে নাবালিকার কাকা। এরপরই গত ৫ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি গাড়ির ডিকি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর খুন করে প্রতিবেশীর গাড়ির ডিকিতে দেহ লুকিয়ে রেখেছিল সে। পুলিশ ধারণা, গাড়িটি দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল এটা জেনেই যুবক মৃতদেহটি লুকানোর জন্য ওই গাড়ি বছে নেয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার কাকাকে! ছত্তীসগড়ের এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
যাদব ছাড়াও আরো তিনজনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।নাবালিকার দেহে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন । ফরেন্সিক রিপোর্টেও প্রমাণ মিলেছে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করেছে বলে খবর।
এই ঘটনার খবর পেয়েই অভিযুক্তর ক্ষোভে ফেটে পড়ে পাড়া-প্রতিবেশী। বিক্ষোভ সামলাতে ছুটে আসে পুলিশ।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “এটা একটা অমানবিক ঘটনা। মেনে নেওয়া যায় না। সমাজের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলবে। তাই অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর”।