
নিজস্ব প্রতিনিধি,ওঙ্কার বাংলাঃ রাজবংশী সম্প্রদায়কে “পা”য়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনই অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন নেতা বংশীবদন বর্মন। শুধু অভিযোগ নয়, বংশীবদনের দাবি, রাজবংশী সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহার প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। উপস্থিত ছিলেন বংশীবদন বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বংশীবদন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন আমার এক হাত হিন্দু, আরেক হাত মুসলিম। আমার এক চোখ পাঞ্জাবি, আর এক চোখ খ্রিস্টান।’ এরপরে তিনি বলেছেন, ‘আমার এক পা রাজবংশী।’ আর এই বিষয়টি একেবারেই ভালোভাবে নেননি রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বলে দাবি করেন বংশীবদন।
গ্রেটার কোচবিহারের প্রধান বংশীবদন আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের রাজবংশীদের জন্য রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি, রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ড সহ বেশ কিছু উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের জাতিকে অপমান করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন। না হলে রাজবংশীদের কাছে ক্ষমা চান।’আর তা না হলে এ নিয়ে তাঁরা আন্দোলন নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন বংশীবদন বর্মন। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে তিনি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েও এই আন্দোলন করবেন। নিজের জাতির অপমান তিনি কোনওভাবেই মেনে নেবেন না।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ পেরোলে ধুপগুড়ি বিধানসভা নির্বাচন। রাজবংশী সম্প্রদায় অধ্যুষিত ধুপগুড়িতে এর প্রভাব পরতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর বছর পেরোলে লোকসভা নির্বাচন। উত্তরবঙ্গের ৭টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়ি আর কোচবিহার রাজবংশী সম্প্রদায় অধ্যুষিত। আর বাকি পাঁচটি কেন্দ্রের নির্ণায়ক শক্তি রাজবংশী সম্প্রদায়। সুতরাং ভোটের আগে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়লো বলে দাবি উত্তরের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগের।