
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ঃ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের করা মামলায় আদালতে সশরীরে হাজিরা দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং শতরূপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পেলেন তারা। কিন্তু আদালতে এলেন না কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিমান বসুরা।
সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের দামি গাড়ি কেনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর জবাব দিতে সাংবাদিক বৈঠক করে গাড়ি কেনার টাকার উৎস জানিয়েছিলেন শতরূপ। অভিযোগ, সেই সাংবাদিক বৈঠকেই কুণালের উদ্দেশে বেশ কিছু আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। শতরূপের সেই মন্তব্য নিয়ে মানহানির মামলা করেন কুণাল ঘোষ। আদালতে কুণাল জানান, যেহেতু ওই সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দলীয় অফিসে, তাই তাতে রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর ইন্ধন ছিল।
বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলার শুনানি হয়। কুণাল এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী হিসাবে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে রয়েছেন। তাই মামলাকারী কুণাল ঘোষ আদালতে আসেন নি। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, মামলাকারী কুণাল একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁকে নানা সফর করতে হয়, তাই তিনি আদালতে আসতে পারেননি। আদালত থেকে বেরিয়ে বিমান বসু নাম না করে কুণালকে কটাক্ষ করেন, “উনি বিশ্ব রাজনীতির তল্পিবাহক”।
সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন। ‘‘যাঁর মান নেই তাঁর আবার মানহানি কী? আমরা কখনওই বলিনি কোর্টে যাব না। যাঁরা গরু, কয়লা, চিটফান্ডের টাকা লুট করেছে, তারা এসব এড়িয়ে যায়। তবে আজ কোর্টে গিয়ে দেখলাম, যিনি অভিযোগকারী তিনিও নেই, আবার তাঁর উকিলও বিষয়টা সম্পর্কে জানেন না।
এক ভিডিও বার্তায় কুণাল বলেন ‘‘সিপিএমের ২২ লাখি কমরেড আমার বিরুদ্ধে কুরুচিকর আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এটা সিপিএমের একটা স্টাইল। যখন যুক্তিতে পারেন না, তখন ব্যক্তিগত কুৎসা করেন। আর এই চার আনার নেতাকে মদত দিয়েছিলেন বিমান, সেলিমরা। প্রথমে রায় দান স্থগিত রাখলেও, বিচারক বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম এবং শতরূপ ঘোষের জামিন মঞ্জুর করেন।