
সম্পূর্ণা সেনগুপ্ত ওঙ্কার ডেস্কঃ কোভিড ১৯ আবারও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। এর নতুন সাব ভেরিয়্যান্ট যে এন ওয়ান এর অনেকগুলি কেস ইতিমধ্যে রিপোর্ট করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা জানিয়েছে, ক্রমাগত আতঙ্ক বারাচ্ছে এই নতুন ভাইরাস। ইতিমধ্যেই “হু” এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘চিন্তার বিষয়’ বলে চিহ্নিত করেছে। ত্রাস ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও ক্রমাগত দেখাচ্ছে চোখ রাঙানি । দেখে নিন কী ভাবে থাকবেন সাবধান এই যে এন ওয়ান থেকে।
যে এন ওয়ানের লক্ষণ গুলি কী কী?
শীত এলেই চারদিকে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। এর মানেই যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ, তা কিন্তু নয়। তবে যে এন ওয়ান বেশ সংক্রামক। হয়তো আপনি মৃদু উপসর্গে কিছুদিন ভুগবেন, এরপর সেরে উঠবেন। কিন্তু সংক্রমণের সময়সীমার মধ্যে আপনি যদি এমন কারও সংস্পর্শে আসেন, যার কো- মর্বিডিটি আছে, তবে কিন্তু তা মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যদি আপনার জ্বর, সর্দি, নাক বন্ধ, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা, শরীরব্যথা, মাথাব্যথা, বমিভাব বা বমি, লুজ মোশানের সমস্যা, পেটব্যথা, ঘ্রাণ বা স্বাদের অনুভূতির পরিবর্তন ইত্যাদি সমস্যা যদি ৫ থেকে ৭ দিনের পরও না কমে ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তবে অবশ্যই চিকৎসকের পরামর্শ নিয়ে টেস্ট করতে ভুলবেন না। এই টেস্টের মাধ্যমেই ধরা পড়বে আপনি কোভিডের নতুন ভেরিএন্টে আক্রান্ত কী না।
কী কী করণীয়
উপরোক্ত উপসর্গ গুলির কোনোটি দেখা দিলে অবশ্যই সচেতন হোন, যাতে আপনার কাছ থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত হতে না পারে।
১. যে কোনও প্রকার ভিড় এড়িয়ে চলুন।
২. যতটা সম্ভব, ঘরেই থাকুন।
৩. প্রয়োজন মত সঠিক গুণমানের মাস্ক পরুন।
৪. ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন না।
৫. করোনা টেস্টের ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসুক বা ‘নেগেটিভ’, ন্যূনতম পাঁচ দিন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করুন।