
নিজস্ব সাংবাদদাতা: পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও পঞ্চায়েত সদস্যদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছিল দুই ব্যক্তি। শেষমেশ ধর্মপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকায় হাতে নাতে ধরা পড়ে গেল তারা। উত্তেজিত জনতার হাতে গণধোলাইয়ের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুচলেকা লিখিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এলাকায় ঘটনাটি নিয়ে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই ব্যক্তি একটি ভুয়ো ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিজেদের ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তাণ্ডব চালাত। আইডি কার্ড ও গাড়িতে ‘প্রেস’ লেখা ব্যবহার করে তারা সহজেই লোকজনকে ভয় দেখাত। ধর্মপুর, বাগদা সহ বিভিন্ন এলাকায় ঠিকাদার, ব্যবসায়ী এমনকি পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলত তারা।
ধর্মপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই এধরনের অভিযোগ আসছিল। আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ জনের কাছ থেকে তারা টাকা তুলেছে বলে দাবি করেন তিনি। গত শনিবার একটি মাটি কাটার বিষয়ে এক পঞ্চায়েত সদস্যকে ফোন করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তারা। এরপর সন্দেহ হওয়ায় অভিযুক্তদের পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই তাদের প্রকৃত পরিচয় ফাঁস হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর উত্তেজিত স্থানীয়রা তাদের চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে পঞ্চায়েত প্রধান হস্তক্ষেপ করে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আর এধরনের কাজ না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছেড়ে দেন।
এই ঘটনায় এলাকার মানুষ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেন, ফেসবুক পেজ বানিয়ে গাড়িতে ‘প্রেস’ লিখে ঘুরে বেড়ানো এক শ্রেণির যুবক এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাজারে। তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও সাধারণ মানুষ সহজে তা বুঝতে পারছেন না। ফলে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহুজন। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, অবিলম্বে এধরনের ভুয়ো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। নাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সচেতনতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।