
সঞ্জয় রায় চৌধুরী ও শেখ এরশাদ, কলকাতাঃ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আর প্রবেশ করতে পারবেন না রাজভবনে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনের তরফে এমনই বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এছাড়া ভোট চলাকালীন রাজভবনে পুলিশ প্রবেশের ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
বঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনে কর্মরতা এক মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনার পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মহিলা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা বলেন, বাংলাকে কালিমালিপ্ত করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের ওই চেয়ারটির মর্যাদা ও সম্মান সবার উপরে। এই ঘটনার পর ওই চেয়ারের মর্যাদা কলুষিত করেছেন সি ভি আনন্দ বোস।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, পবিত্র এই বাংলার মাটিতে কী ঘটছে এগুলো। যিনি সাংবিধানিক প্রধান, সেই রাজ্যপাল শ্লীলতাহানির মতো জঘন্য কাজ করেছেন, ভাবা যায় না। শশী পাঁজা বলেন, “রাজ্যপালকে কারা মনোনীত করেন সকলেই জানেন। বিজেপির ঘনিষ্ঠ এই রাজ্যপালেরা রাজ্য সরকারগুলোকে উত্ত্যক্ত করে বিরক্ত করে। এই রাজ্যপালও করেছেন। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন যে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে জঘন্য কাজ করা হয়েছে। আরও কত মহিলার সঙ্গে যে এ ধরনের নোংরা কাজ করা হয়েছে আমরা জানি না। রাজ্যপালের চেয়ারের গরিমা ও সম্মান রয়েছে”।
শশী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান নিয়ে গলা ফাটান। তাঁরা এবার কী বলবেন আমরা শুনতে চাই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড়। তাঁর অভিযোগ, দুবার রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রথমে তিনি রাজভবনে কর্তব্যরত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানান। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। “রাজ্যপালের সম্মানহানি এবং তাঁর বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক বিবৃতি দেওয়ার জন্য চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কলকাতা, দার্জিলিং এবং ব্যারাকপুরের রাজভবনে তিনি ঢুকতে পারবেন না। চন্দ্রিমা কোনও অনুষ্ঠানে থাকলে সেখানেও যাবেন না রাজ্যপাল।