
উজ্জ্বল হোড়,জলপাইগুড়ি: জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল ত্রিশঙ্কু। সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে কাছে পেতে মরিয়া তৃণমূল ও বিজেপি।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল – বিজেপি – সিপিএমের লড়াইয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল বাংলার রাজনীতি। তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল,ক্ষমতা দখলের জন্য শত্রুতা ভুলে একে অপরের হাত ধরতে পিছপা নয় কোন পক্ষই। গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে এবার সিপিএমের বিজয়ী প্রার্থীর উপর নজর তৃণমূল ও বিজেপির। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা গেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল ত্রিশঙ্কু।গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৯ ,যার মধ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৯ টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ৯ টি আসন , বাকি ১ টি আসন সিপিআইএমের দখলে। ফলাফলের নিরিখে কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সেজন্য পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা ১৫/২২৪ বুথের সিপিআইএমের বিজয়ী প্রার্থী প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল, বিজেপির দড়ি টানাটানি।যদিও বোর্ড গঠনের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি ।এখন দেখার সিপিএমের বিজয়ী প্রার্থী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কোন দলের দিকে ঝুঁকে। সিপিএমের বিজয়ী প্রার্থী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই নি। আমাদের বিজয় মিছিল হবে, কর্মী এবং এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবো এবং আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব। বিজেপি তৃনমূল উভয় দল থেকেই প্রস্তাব আসছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে তৃণমুল নেতৃত্ব।ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিপু রায় জানিয়েছেন, দলের তরফ থেকে এখনো তাকে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তবে উন্নয়নের স্বার্থে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন এইটুকু বিশ্বাস আমাদের আছে।
অপরদিকে ধূপগুড়ি পূর্ব মন্ডল বিজেপির সম্পাদক বিকাশ রায় বলেন, সিপিএমের বিজয়ী প্রার্থী তৃণমূলের সাথেই গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিলেন তিনি ভালো করে জানেন তৃণমূলকে সমর্থন করলে কি পরিণতি হবে। অঞ্চলের মানুষের স্বার্থেই উনি বিজেপিকে সমর্থন করবেন। তৃণমূল বিজেপির দড়ি টানাটানিতে শেষ হাসি কে হাসবে , কোন দল বোর্ড গঠন করবে সেই দিকেই তাকিয়ে সাঁকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।