
বাবলু প্রামানিক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে বারুইপুরে বৃহস্পতিবার শর্ত সাপেক্ষে বিজেপির সভা করার অনুমতি মিলল। এরপরেই পূর্ব ঘোষিত সভা নিয়ে উদ্যোগী হল জেলা বিজেপি। গত ১৯ মার্চ বারুইপুরে বিজেপির মিছিল ও জনসভার দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দু’টি পৃথক পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই পথসভার মধ্যে দিয়েই শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয়।গত বুধবারের বিজেপির সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় ঢুকতেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাঁকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন৷ তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় বলে অভিযোগ৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে শুভেন্দু অধিকারী গাড়িতে দাঁড়িয়েই বক্তৃতা করেন৷ রাজ্য রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানান। ঘোষণা করেন ২৭ মার্চ বারুইপুর এসপি অফিসের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করবেন। যদিও সেই সভা করার অনুমতি দেয়নি বারুইপুর জেলা পুলিশ। শেষমেষ বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্টে। অবশেষে আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে সেই সভার অনুমতি মেলে।

হাইকোর্টের শর্তগুলি হল – এক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে কর্মসূচি করতে পারবে। কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যাবে ২৫ টি মাইক, তার বেশি নয়। তবে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা বাদ দিয়ে ৫০০ মিটার এলাকায় মাইক ব্যবহার করা যাবে।
আদালতের অনুমোদন পেয়েই মাঠে নেমে পড়েন বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোরঞ্জন জোতদার। জেলার অন্যান্য নেতৃত্বদেরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চলে আসেন বারুইপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের উল্টোদিকে নির্দিষ্ট সভাস্থল ঘুরে দেখেন। ঘোষণা করেন, বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৭ তারিখ শুভেন্দু অধিকারী আদালতে নির্দেশে সেখানে সভা করবেন। শুভেন্দু অধিকারী সভাকে ঘিরে আর বিরোধীতার পথে হাঁটেনি শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা বারুইপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান গৌতম দাস জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী সভা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তাই এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কোন প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশ নেবেনা। যে কোন রাজনৈতিক দল তার অধিকার আছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা।