
ওঙ্কার ডেস্ক: প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকুর’ অন্তরবর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল আদালত। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়েছিলেন তিনি। ফের চিকিৎসার কারণেই আরও প্রায় এক মাস বৃদ্ধি করা হল মেয়াদ। জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত। সূত্রের খবর, আগামী মাসের ২১ এপ্রিল হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে একই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জামিনের পর থেকে বেহালার বাড়িতে রয়েছেন কালিঘাটের কাকু। সেখানেই তাকে নজরবন্দি করে রাখার জন্যও মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। লাগু করা হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। শর্ত গুলি হল, চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও কারণে বেরোতে পারবেন না তিনি। তাঁর উপর সব সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি থাকবে। রাজনৈতিক ব্যক্তি বা বাইরের কারও সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারবেন না। কোনও সময়ে বাইরে বেরোতে হলে সিবিআইয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতেও বলা হয়েছিল তাকে।
বিশেষত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছেন, তার ব্যাক্তিগত শৌচাগারে পর্যন্ত ঢুকে পড়ছেন জওয়ানরা। এমনকি সারাদিন তারই বাড়িতে থাকছেন এবং এসিও ব্যাবহার করছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আরও এক মাসের জন্য সুজয়কৃষ্ণের জামিন বৃদ্ধি করল আদালত।
জওয়ানদের এহেন আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে সুজয়কৃষ্ণের বিচারক অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহরায় বলেন, বাড়ির দরজার বাইরে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। বাড়ির বাইরে করা হবে অস্থায়ী নির্মাণ সেখানেই জওয়ানদের জন্যও থাকবে বসার এবং থাকার জায়গা। গরমে জওয়ানদের জন্য পাখার বন্দোবস্তও করতে হবে। তাছাড়াও উচ্চ আদালত থেকে জানানো হয়, সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে শুধুমাত্র চিকিৎসক এবং আত্মীয়েরা যেতে পারবেন। ব্যাঙ্কের এক জন কর্মীকেও প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।