
তাপস ঘোষ, মুর্শিদাবাদঃ আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮তম জন্মদিবস। সেই নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত পাঁচফুপির ঘোষ মল্লিক পরিবারের জমিদার বাড়ির আজ সময়ের গ্রাসে জরাজীর্ন।খসে পড়ছে পলেস্তরা,ইট। বাড়ির যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে বট, পাকুড়। এই বাড়িতেই একদিন রাত্রিবাস করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। জমিদার বাড়ির গিন্নি নিজের হাতে নেতাজিকে খাইয়েছিলেন লুচি, আলুর দম, সন্দেশ। তৎকালীন জমিদার সুনীলমোহন মল্লিকের সঙ্গে চিঠির আদান প্রদান হত নেতাজির। নেতাজির হাতে লেখা বহু চিঠি এখনও সংরক্ষিত রয়েছে এই বাড়িতে। তবে বাড়িটির দৈনদশা থেকে স্পষ্ট নেতাজির স্মৃতি আর আগলে রাখতে পারছেন না ঘোষ মল্লিক পরিবার।
১৯২৯ সালের মে মাসে একটি সভায় যোগ দিতে পাঁচথুপিতে এসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। সুনীলমোহন ঘোষ মল্লিকের নেতৃত্বে সেই সভা সংগঠিত হয়। সেদিন রাতেই এই জমিদার বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর মহানায়ক।সেই সময় ব্রিটিশ পুলিশের নজর ছিল তাঁর উপর। এই বাড়িতে তার উপস্থিতির কথা ব্রিটিশ পুলিশের নজরে চলে আসায় পরদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই নেতাজি পাঁচথুপি থেকে অর্ন্তধ্যান করেন।
তারপর থেকে পাঁচথুপির ঘোষ মল্লিক পরিবারের তৎকালীন জমিদার সুনীল মোহন ঘোষ মল্লিকের সঙ্গে নেতাজির রাজনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হয়ে ওঠে। এরপর চলে পত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক কার্যকলাপের মতের আদান প্রদান। নেতাজীর লেখা সেই চিঠির মধ্যে উল্লেখ রয়েছে পাঁচথুপি কে ঠিক গ্রাম বলা চলে না শহরের ছাপ রয়েছে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে ঘরে রাত্রিবাস করেছিলেন সেই ঘর আজ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। নেতাজির স্মৃতি বিজরিত ঘর এবং বাড়িটি আজ ধ্বংসের মুখে। ওই পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য,সেই জমিদারী আজ আর নেই, তাই রক্ষণাবেক্ষণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের দাবি সরকার যেন উদ্যোগ নিয়ে এই সমস্ত স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে।
ভিডিও দেখুন-