
ওঙ্কার ডেস্কঃ ফের এক স্বাস্থ্যকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। আরজি করের পর এবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল। ২৫ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সী ওয়ার্ডে দুই ট্রেনি নার্সকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে রাণা মালাকার নামের এক নার্সিং স্টাফকে গ্রেপ্তার করল আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। কর্তব্যরত অবস্থায় ওই দুই নার্সিং পড়ুয়ার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত ওই যুবক বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২৫ শে জানুয়ারির পর রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবস থাকায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। ওই ঘটনা নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই জেলা হাসপাতাল চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন ওই দুই নার্সিং পড়ুয়ার অভিভাবক থেকে শুরু করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় সহ একাধিক স্বাস্থ্য কর্তা। এক ম্যারাথন বৈঠকের পর সোমবার সন্ধ্যায় ওই অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান জেলা হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মন্ডল। সঙ্গে ওই অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রাণা মালাকার নামের ওই স্বাস্থ্য কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতেন। নানান অছিলায় মহিলা নার্সদের বাজে ইঙ্গিত ও অশালীন আচরণ করতেন। কিন্তু এতদিন ধরে তাঁর ওই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠায় বিষয়টি ধামাচাপা অবস্থায় ছিল। এদিন নির্যাতিতা দুই নার্সিং পড়ুয়া রুখে প্রিন্সিপাল হাসপাতাল সুপারকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানান।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মন্ডল বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। সঙ্গে পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এবং অভিযোগের একটি কপি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।”
জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এবং অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার ও করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে তোলা হবে আদালতে।