
আমজাদ আলি শেখ, পূর্ব বর্ধমানঃ একই রাস্তা সংস্কার করতে একবার, দুইবার নয়, তিনবার ঢাকা হয়েছে টেন্ডার! তবুও বেহাল রাস্তার সংস্কার হয়নি। কাজ না করিয়েই সেই টেন্ডারের টাকা একজন ঠিকাদারকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ গলসির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রাস্তা ঘেরাও করে বিক্ষোভ এবং প্রধানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন এলাকার একাংশ।
আন্দোলনকারীদের দাবি, গলসি ১ নম্বর ব্লকের লোয়াপুর কৃষ্ণরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোয়াপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সোদপুর পুরোনো সেতু পর্যন্ত ৫০০ মিটার চলাচলের অযোগ্য রাস্তা সংস্কারে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তিন মাসে তিনবার টেন্ডার করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অথচ রাস্তার অবস্থা বিন্দুমাত্র বদলায়নি। তারা জানান, একই রাস্তায় গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি গত ইংরেজির ৬ নভেম্বর ৯২,১৬২ টাকার এবং ১১ নভেম্বর ৯২,৩৪৮ টাকার টেন্ডার করেছে। এরপরও ৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে লোয়াপুর কৃষ্ণরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মেরামতির জন্য ৫১,৮২৯ টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, তিন মাসে ওই তিনটি কাজই পেয়েছে একই ঠিকাদারি সংস্থা! ঘটনায় মোট ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৩৯ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, আর সেই কারণেই প্রধান মিরাজ মল্লিককে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
এই দুর্নীতির জন্য তারা প্রধানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন ও জানিয়েছেন তারা। এদিকে, এলাকার অনেকের অভিযোগ রাস্তা সংস্কার না হওয়ার কারণে ১০ মাস ধরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার ফলে আশপাশের ১৯টি গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তবে পঞ্চায়েত প্রধান মিরাজ মল্লিক তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি কী করেছে, তা জানি না। তবে লোয়াপুর কৃষ্ণরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ওই রাস্তা সংস্কার করছে। তার জিও-ট্যাগসহ সমস্ত প্রমাণ রয়েছে পঞ্চায়েতের কাছে। এবং এই প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ আসলে তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র।
ভিডিও দেখুন-