
অরূপ ঘোষ,ঝাড়গ্রাম:
জামা-প্যান্ট খুলে অর্ধ নগ্ন অবস্থায় ধানের জমিতে লুকিয়েও লাভ হল না! খড়্গপুরের সোনার দোকানে ডাকাতি কাণ্ডে ঝাড়গ্রাম থেকে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।
। এছাড়াও শনিবার সকালে গ্রামবাসী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের তৎপরতায় জামুয়া আকনা গ্ৰাম থেকে আরো একজনকে গ্রেফতার করে বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্তের নাম অরিজিৎ সিং।উল্লেখ্য গত শুক্রবার খড়গপুরের গোলবাজারের একটি সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতি চালায় একটি দল। বাধা দিতে গেলে এলোপাথাড়ি সোনার দোকানের মধ্যে গুলি চালায় তারা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশকে জানানো হয় ডাকাত দলটি ঝাড়গ্রামের দিকে প্রবেশ করতে পারে। সেই মতো ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে ডাকাত দলটি জাতীয় সড়ক ধরে
গোপীবল্লভপুরের উপর দিয়ে উড়িষ্যা রাজ্যে পালিয়ে যেতে পারে। খবর পেয়ে গোপীবল্লভপুর থানার আই. সি. সুদীপ ব্যানার্জী পুলিশ কর্মীদের নিয়ে গোপীল্লভপুরে ব্রিজের উপর নাকা চেকিং করার সময় দুষ্কৃতিদের গাড়িকে দাঁড় করাতে গেলে, একজন পুলিশ কর্মীর উপর হামলা চালিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতিরা। ওই ঘটনায় গোপীবল্লভপুর থানার একজন পুলিশ কর্মী আহত হয়। এরপর গাড়িটি কে পুলিশ ঘিরে ফেললে দুষ্কৃতীরা গাড়ি ফেলে ধান চাষের জমি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । শেষমেশ ধান চাষের জমিতে ড্রোন চালিয়ে চলে দুষ্কৃতীদের খোঁজ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপারেশন উত্তম ঘোষ ও হেডকোয়ার্টার কল্যান সরকার, গোপীবল্লভপুরের এস.ডি.পি.ও কৃষ্ণগোপাল মিনার নেতৃত্বে দুটি পৃথক দল ধান চাষের জমিতে তল্লাশি চালায় ,প্রথমে গ্রেফতার হয় ২জন। পরে আরো ৩ জনকে রান্টুয়া থেকে কিছুটা দূরে পাইকাম্বি ও বারোমানিয়া গ্রামে ধান চাষের জমি থেকে গ্রেফতার করা হয়। অর্থাৎ গাড়ির ড্রাইভার সহ পাঁচ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জামা-প্যান্ট খুলে ধানের জমিতে লুকিয়েও লাভ হলো না দুষ্কৃতিদের। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়অস্ত্র। পাঁচ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় গোপীবল্লভপুর থানায়। সেখান থেকে তাদেরকে তুলে দেওয়া হয় মেদিনীপুর জেলা পুলিশের হাতে।