
গোপাল শীল,দক্ষিণ ২৪ পরগণা : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের বাকি আর মাত্র ৩৯ দিন। বাতাসে এখন থেকেই পুজো পুজো গন্ধ পাচ্ছে প্রত্যেক বাঙালি। শহর থেকে জেলা দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে খুঁটিপুজো। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃৎ শিল্পীদের। তেমনই ব্যস্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অলংকার শিল্পী রবীন্দ্রনাথ হালদার। তার বয়স ৮০ বছর। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মন্দিরবাজার ব্লকের মহেশপুরের বাসিন্দা তিনি। মাতৃমূর্তি তৈরি হওয়ার পর সেই মূর্তিতে অলংকার সজ্জা করে তা সর্বসাধারণের কাছে দৃষ্টিনন্দন করে তোলেন রবীন্দ্রনাথ হালদার।মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে অলংকার তৈরি শুরু করে রবীন্দ্রনাথ বাবু, সেই থেকেই পথ চলা। তবে তাঁর আক্ষেপ বহু পুরস্কারে পুরস্কৃত হওয়ার পরও সরকারিভাবে কোন সুযোগ-সুবিধা বা সাহায্য পাননা সোলা শিল্পীরা। সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, সোলা শিল্পীদের মর্যাদা দেওয়া হোক,পাশাপাশি তাদের মাসিক ভাতাও যেন দেওয়া হয়।
মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেন, এই শিল্পী বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি এলাকার গর্ব। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অলংকার শিল্পীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মনে আক্ষেপ থাকলেও, কাজ থেকে পিছপা হননি রবীন্দ্রনাথ হালদার। ইতিমধ্যেই তিনি বেহালার একটি ক্লাবে দুর্গা প্রতিমার অলংকার তৈরির বরাত পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী,ছেলে বৌমা,সবাই হাত মিলিয়েছেন মায়ের অলংকার তৈরিতে।