
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়,বারাসাত: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানা এলাকার নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোষপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে । মৃতদের মধ্যে বাজি কারখানার বাড়ির মালিক সামসের আলি এবং বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি এবং তার ছেলে রয়েছে।সোমবার সকাল থেকে ফের ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে পাশের পুকুর এবং ধ্বংসাবশ্যের মধ্য থেকে বেশ কিছু মানুষের দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বারাসাত হাসপাতালের পুলিশ মর্গে থাকা
মৃতদের নাম যথাক্রমে
রনি শেখ(১৬),জিরাথ শেখ (৫০),কলেজ সেখ(৪৫),আজাদ শেখ(১৯),মাসুম শেখ( ১৮) এই ৫ জন মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার অরঙ্গাবাদ এলাকার বাসিন্দা। বাকিরা হলেন কারামত আলি(৪৫),রবিউল আলি (২২),সামসের আলি(৫২) এরা হলেন দত্তপুকুরের রস ফলের বাসিন্দা। বাকী আর একটি মৃতদেহ সাহাবাজ আলমের(২৪)সে
ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলা ও ঝাড়খণ্ড থেকে প্রায় ১০ জনের একটি দল এসেছিল ,যাঁরা প্রত্যেকেই অভিশপ্ত বেআইনি বাজী কারখানায় কর্মরত ছিল। শুধু বাজী নয়, বাজীর পাশাপাশি বোমা তৈরির কাজ ও করত তারা বলে অভিযোগ । এদিকে এই বেআইনি বাজী কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কেরামত আলীর এক ব্যবসায়িক সহযোগী সফিকুল ইসলাম কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।সোমবার তাকে বারাসাত আদালতে হাজির করা হচ্ছে। অপরদিকে সোমবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন হিউম্যান রাইটস কমিশন ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা।ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তর দাবি উঠেছে রাজ্য সরকার বিরোধী সমস্ত দলগুলির পক্ষ থেকে।