
ওঙ্কার ডেস্ক:মঙ্গলবার সাত সকালে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইডির হানা। বৈদ্যবাটি থেকে দমদম ,এদিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায় ইডির আধিকারিকরা। এদিন সকালে দমদমের গোরাবাজার এলাকার সঞ্জয় গুপ্তার বাড়িতে ভোরবেলাই হানা দেয় ইডির আধিকারিকেরা, জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের একটি ব্যাঙ্কে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা তছরুপ মামলায় নাম জড়িয়েছে ওই ব্যাক্তির, কিন্তু বাড়ির কোনো সদস্য বাড়িতে না থাকায় কিছুক্ষন অপেক্ষা করেই ফিরে আসতে হয় তাদের।অন্যদিকে, বেলুড় থানার ঘুসুড়িতে এক ব্যবাসায়ীর বাড়িতে সকাল সকালই হানা দেয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তিন চার জন আধিকারিক। স্থানীয় সুত্র মারফত জানা গেছে ওই ব্যবসায়ীর নাম কৈলাস সারাফ, সঞ্জয় সুরেখা নামে আসানসোলের এক কয়লা ব্যবসায়ী সঙ্গে কাজ করত সে। সেই ব্যবসা সংক্রান্ত কোন দুর্নীতির কারণেই এই তল্লাশি বলে মনে করা হচ্ছে। কৈলাসের বাড়িতে ইডি হামলার কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামীর দাবি, কৈলাসের জীবন যাত্রা দেখে কোনোদিনই মনে হতো না তিনি খুব সাধারণ কোনো চাকরি করেন, এবং তাদের কাছে খবর ছিল এই কৈলাস সরাফ কল সেন্টার থেকে শুরু করে বেটিং সংস্থা বিভিন্ন কালোবাজারির সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন, এ বিষয়ে সরকারকে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি, বলে জানিয়েছেন তিনি।এদিন দমদম, বেলুড় ছাড়াও বালিগঞ্জ ও কলকাতার আরো কয়েকটি জায়গায় ইডি হানা দিয়েছে। পাশাপাশি এদিন সকালে বৈদ্যবাটির শান্তনু নস্করের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা, কলকাতার এক বেসরকারী সংস্থার কর্মচারী শান্তনু বাবুও বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন । হঠাৎ করে রাজ্যে ইডির এই অতি সক্রিয়তা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মধ্য ও রাজনৈতিক মহলে।