
ওঙ্কার ডেস্ক- বাবার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কলকাতায় গান গাইতে আসছেন মহম্মদ রফির ছেলে শাহিদ রফি। জন্মশতবর্ষে সুরসম্রাট মহম্মদ রফিকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা অনুষ্ঠান চলছে। কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী মহম্মদ রফি ছাব্বিশ হাজারেরও বেশি সিনেমার গানে নেপথ্য গায়ক বা প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর সুরের জাদুতে মন জিতে নিয়েছে সকলের। ‘খোয়া খোয়া চাঁদ খিলা আসমান’, ‘বাহারো ফুল বরসাও’ থেকে ‘লিখে জো খত তুঝে’, সহ বিভিন্ন গান এখনও মানুষ পছন্দ করেন এবং শোনেন। মহম্মদ রফির ১০০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘আজকের হাওড়া’ পত্রিকা।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার শরৎ সদনে শাহিদ রফির ‘লাইভ কনসার্ট’। এই সঙ্গীতানুষ্ঠানকে ঘিরে হাওড়ার সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহের শেষ নেই। পত্রিকার সম্পাদক শ্রীকান্ত ঘোষের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘কিংবদন্তী শিল্পী মহম্মদ রফিকে শ্রদ্ধা জানাতে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম সংগীত শিল্পী শাহিদ রফিকে নিয়ে এসে তাঁর কণ্ঠে শুনব তাঁর বাবার গাওয়া গান। সেই মতো মুম্বইতে গিয়ে শাহিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। উনি এককথায় আসতে রাজি হন।” বাবার জন্মবার্ষিকীতে বাংলায় গান করতে আসতে পেরে কৃতজ্ঞতা শাহিদ রাফি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের জানিয়েছেন।
১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, পাঞ্জাবে জন্ম মহম্মদ রফির। গজল, কাওয়ালি, ভজন, ধ্রুপদী, বিভিন্ন ধরনের গানে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি। সঙ্গীত জীবনে বহু পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছিলেন মহম্মদ রফি। ১৯৬৭ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসাবে জাতীয় পদক, ৬ বার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যায় ভুগে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। জানা যায়, তাঁর শেষ গানটি ছিল ‘শ্যাম ফির কিউ উদাস হ্যায় দোস্ত’। তবে এবার সঙ্গীতপ্রেমী সকল মানুষের প্রিয় মহম্মদ রফির গানগুলি আরও একবার শোনা যাবে তাঁর ছেলে শাহিদের গলায়। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়ে গিয়েছে হাওড়া শহরে। দেওয়া হচ্ছে ফ্রি টিকিটও। ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার বিকেলে সঙ্গীতানুষ্ঠান। বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন সেখানে।