
ওঙ্কার ডেস্ক: এই প্রথম নয়, কিংশুকরা এর আগেও শুটিংয়ে ‘অসহযোগিতা’ করার অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি পড়লেন ‘অসহযোগিতা’র কোপে। ৯ জুন বাঘাযতীনে কিংশুক দের নতুন ছবির শুটিংয়ের কথা ছিল। কিন্তু পরিচালকের অভিযোগ গত রাত থেকে একাধিকবার ফোন করা সত্ত্বেও কোনও সিনে টেকনিশিনায়নই ফোন তোলেননি। টেকনিশিয়ানদের ‘অসহযোগিতা’ এই প্রথমবার নয়। পরিচালক সুদেষ্ণা রায় থেকে অনির্বাণ ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রে ঠিক এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ফেডারেশন-পরিচালক দ্বিমত আজকের নয়। একাধিকবার একাধিক অভিযোগ উঠেছে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন যে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন পরিচালকদের একাংশ।
শোনা গিয়েছিল, ফেডারেশনের ‘সিদ্ধান্ত’র কথা। যাঁরা ফেডারশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তালিকায় রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরি, বিদুলা ভট্টাচার্য, সুদেষ্ণা রায়দের মতো পরিচালকরা।
‘কঠোর সিদ্ধান্ত’ সম্পর্কে সূত্র জানায় ‘সদস্যদের বড় স্ক্রিনে ওই ভিডিওটি দেখানো হয়েছে, এবং হাইকোর্টের মামলায় কার কী বক্তব্য ছিল, তাও দেখানো হয়। এই মামলার বাইরেও যাঁরা, তাঁদের সমর্থন করছেন, তাঁদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এবং তা বেশ উত্তপ্ত পর্যায়ে পৌঁছয়।
প্রযোজক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছিল গত বছর। পরে অবশ্য পরিচালকের সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ক্ষমা’ চাওয়ার পর, তা মিটমাট হয়ে যায়। তারপর সৃজিত রায়ের শুটিংয়েও হয় অসহযোগিতা। সেক্ষেত্রেও আসে সেই ‘ক্ষমা চাওয়া’ এবং তারপর সব মিটে যায়।
কিন্তু এই ‘আজীবন অসহযোগিতা’র সিদ্ধান্ত যদি কার্যকরী হয়, তা হলে এই প্রথম টলিপাড়ার একাধিক পরিচালকরা একসঙ্গে কলাকুশলীদের ‘Non cooperation’-এর মুখে পড়তে চলেছেন! প্রশ্ন উঠছে একাধিক, এখন শুধু উত্তরের অপেক্ষা।