
ওঙ্কার ডেস্ক: ১লা মে, দু’ দুটো মিটিং ঘিরে দিনভর সরগরম ছিল টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়া। একদিকে ফেডারেশনের মিটিং, অন্যদিকে আর্টিস্ট ফোরামও একইদিনে বৈঠক রেখেছিল। আশঙ্কা আগেই ছিল যে, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়-সহ ক’জন পরিচালকদের বিরুদ্ধে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ফেডারেশনের তরফ থেকে। টলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর, সেই গুঞ্জনে হয়তো এবার সিলমোহর পড়তে চলেছে।
যদিও ফেডারেশনের তরফে কোনও বিবৃতি এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি, তবে মিটিংয়ের পর বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, ওই মিটিংয়েই নাকি কলাকুশলীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কজন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে নারাজ তাঁরা। এই তালিকায় পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের নামও শোনা যাচ্ছে। কানাঘুষো স্টুডিওপাড়ায় শোনা যাচ্ছে, মেগা মিটিংয়ে নাকি টেকনিশিয়ানরা এক জোট হয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে।
ফেডারেশন বনাম পরিচালক গিল্ডের দ্বন্দ্ব চলছে গত বছর থেকে! তখন থেকেই একাধিকবার ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলের দ্বন্দ্ব চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেছে। সাম্প্রতিক অতীতেও দু’পক্ষের লড়াইয়ে বারবার জট বেঁধেছে টলিপাড়ায়। মূলত ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ উঠেছে দু’ তরফ থেকেই। উল্লেখ্য, অনির্বাণ যেমন অভিনেতা-পরিচালক, পরমব্রত তেমন অভিনেতা-পরিচালকের পাশপাশি প্রযোজকও। ফলে দু’ জনের ‘কমন ফ্যাক্টর’ যেহেতু অভিনেতা, তাই এদিন সকলের নজর ছিল আর্টিস্ট ফোরামের মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের দিকেও। তবে আর্টিস্ট ফোরাম তাদের মিটিংয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, এটা পরিচালকদের গিল্ডের সঙ্গে ফেডারেশনের সমস্যা। আর্টিস্ট ফোরাম এই দ্বন্দ্বে ঢুকবে না। সূত্রের খবর, বেশ ক’জন অভিনেতা-অভিনেত্রী এদিন বৈঠকে প্রযোজকদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, যখন তখন, যে কাউকে কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে, ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদেষ্ণা রায় শুটিং শুরু করতে গিয়ে মারাত্মক অসহযোগিতার মুখে পড়েছিলেন। তার সঙ্গে কোনও কলাকুশলীই কাজ করতে রাজি হয় না বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে নাকি বেশ ক’জন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন কলাকুশলীরা। টলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে তেমনটাই খবর। এই জল কতদূর গড়ায়, এখন নজর থাকবে সেদিকে।