
ওঙ্কার ডেস্ক: টলিপাড়ায় শোকের ছায়া। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় সবেতেই অভিনয় করেছেন তিনি। ইহলোকের মায়া কাটিয়ে অমৃতলোকে বর্ষীয়ান অভিনেতা হরিদাস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে ভারাক্রান্ত সিনেনাপাড়া।
১৯৪৩ সালে বাংলাদেশে তাঁর জন্ম। দেশভাগের সময় চলে আসেন। বিয়ে করেননি। এক ভাইও রয়েছে তাঁর। টলিপাড়ায় ‘মিঠুদা’ নামেই পরিচিতি ছিলেন তিনি। কালিকাপুরের এক হাউজিংয়ে ভাড়া থাকতেন দুই ভাই। সম্প্রতি বাড়িতেই পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। চোট পেয়েছিলেন ভালোই। তারপর থেকে ভালো হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না তিনি। বার্ধক্যজনিত নানা রোগ যেন আষ্টেপৃষ্টে ঘিরে ধরে ছিল অভিনেতাকে।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধে থেকে শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে। শরীর ভালো নেই বলেই জানান। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে শুয়ে পড়েন। ভাইকে বলেন, “আলো নিভিয়ে দিতে।” সেই মতো আলো নিভিয়ে দেন। বেশ কিছুক্ষণ পর ঘরে ঢুকে দেখেন দাদার কোনও সাড়া নেই। শরীরও একেবারে ঠান্ডা। বিপদ যে হয়েছে, তা বুঝতে বেশি দেরি হয়নি অভিনেতার ভাইয়ের। এরপর চিকিৎসক বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হয় তাঁর।
নানা ধারাবাহিক এবং ছবিতে দেখা গিয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। অপর্ণা সেনের ‘গয়নার বাক্স’, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র মতো একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। মিষ্টভাষী এক বর্ষীয়ান অভিনেতাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া। গিল্ডের সদস্য ছিলেন ‘মিঠুদা’। গিল্ডের তরফ থেকে তাঁর ভাইয়ের কাছে শোকবার্তা পাঠানো হয়েছে।