
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: সম্পর্কে দূর সম্পর্কের মামি এবং ভাগ্না। কিন্তু তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক। সমাজ ও পরিবারের বাধা নিষেধের কাছে হার মেনে অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুজনেই। দুজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার অন্তর্গত পাইকপাড়া এলাকায়। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবতীর নাম অনন্যা। পাইকপাড়ার আশা গাজিতলার বাসিন্দা তিনি। অন্যদিকে নিহত যুবকের নাম রাকেশ ওরফে রকি বাগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে অনন্যার সঙ্গে বিয়ে হয় রণজিৎ সর্দার নামের এক যুবকের। রণজিতের সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে হয় তাঁর। আড়াই বছরের সন্তানও রয়েছে তাঁদের। রণজিৎ একটি বাইক গ্যারাজ চালাতেন। সবকিছু ঠিকই চলছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে অনন্যার মন উঠে যেতে থাকে রণজিতের উপর থেকে। রণজিতের পিসতুতো দিদির ছেলে রাকেশ ওরফে রকির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনন্যা। সম্পর্কে দূর সম্পর্কের ভাগ্না হলেও অনন্যার সঙ্গে রকির পরকীয়া সম্পর্ক দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে। রকির সঙ্গে অনন্যার চলত ফোনালাপ। শুধু তাই নয়, রকি মাঝে মাঝে অনন্যার বাড়িতে আসতেন বলে দাবি পরিবার সূত্রে।
এদিকে রকির পরিবারের অভিযোগ, রকি যা আয় করতেন তার বেশির ভাগ মামি অনন্যার পিছনে খরচ করতেন। শুধু তাই নয় মাস দুয়েক কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল সে। মামির সঙ্গে বেশি সময় কাটাচ্ছিলেন রকি। কিন্তু তাদের সম্পর্ক জানতে পারার পর মেনে নেয়নি পরিবার। তাই দুজনেই ভিডিও কল করে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, দুজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন। দুজনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।