
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: কলকাতার বড়বাজারে মেছুয়ার ফলপট্টির এক হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুই শিশু-সহ মৃত্যু হল ১৪ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন পুরুষ এবং এক মহিলাও। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় শোকপ্রকাশের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন।
মেছুয়ার ফলবাজার সংলগ্ন হোটেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পরে। হোটেলের মধ্যে থাকা মানুষজন আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করেন। কিন্তু আগুন এবং ধোঁয়ার ফলে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয় হোটেলের মধ্যে। শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই শিশু-সহ ১৩ জনের। আর এক জনের মৃত্যু হয়েছে হোটেল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কারণে। জানা গিয়েছে তিনি ওই হোটেলের কর্মী ছিলেন। অন্য দিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একে একে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও উদ্ধারকাজ চলছে।
দিঘার জগন্নাথ মদির উদ্বোধনের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হোটেলে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণেই এত জনের মৃত্যু হয়েছে। সারা রাত ধরে আমি উদ্ধারকাজের খোঁজখবর নিয়েছি। এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন করারও ব্যবস্থা করেছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সহমর্মিতা রইল।’
এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এক্স বার্তায় বলা হয়েছে, ‘কলকাতায় অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’