
ওঙ্কার ডেস্ক : নারকেলডাঙার খালপাড়ের বস্তিতে শনিবার রাতভর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা এলাকা। পুড়ে ছাই বহু ঝুপড়ি, মৃত্যু হয়েছে একজনের। দমকলের ১৬টা ইঞ্জিন ঘন্টা চারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও, গৃহহীনদের হাহাকারে ভরে আছে ঘটনাস্থল।
রবিবার সকাল থেকেই বাড়ছে গৃহহীনদের ক্ষোভের মাত্রা। এই দায় কার, তাই নিয়েই উত্তপ্ত গোটা এলাকা। এদিন ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ক্ষুব্ধ বস্তিবাসীরা তাঁকে ঘিরে স্থানীয় কাউন্সিলর সচিন সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থাকেন। মেয়র বলেন, গরিব মানুষদের সঙ্গে আমরা আছি। সরকারি নিয়ম মেনে যা করার করব। সেচ দফতর যদি অনুমতি দেয়, তবে ওখানে বাংলার বাড়ি হতে পারে। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা দমকলই বলতে পারবে বলে জানান মেয়র। বিক্ষুব্ধদের আশ্বস্ত করে মেয়র ঘটনাস্থল ছাড়াতেই ফের উত্তেজনা দানা বাঁধতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠজন।
নারকেলডাঙার খালপাড়ের বস্তিতে শনিবার রাতে আচমকাই আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগুন লাগার অন্তত দু’ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে যায় দমকল। তত ক্ষণে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছিল। এতেই দিশেহারা হয়ে ওঠেন ঝুপড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বেআইনি ভাবে দোকান, ঝুপড়ি করার অনুমতি দিতেন কাউন্সিলার। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপর পর তিনি নিরাপত্তার দাবিতে নারকেলডাঙা থানার সামনে ধর্নায় বসেন।