
অরূপ ঘোষ, ঝাড়গ্ৰাম: শরৎকাল মানেই কাশফুল, কাশফুল মানেই বাংলার উৎসব শুরু হওয়ার বার্তা। নদীর ধারে কাশফুল ফুটছে মানে দুর্গা পুজো আসছে বলে মনে করেন সকলে। ঝাড়গ্রাম জেলার কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দারা এই পুরানে বিশ্বাসী নন। তাঁরা মনে করেন গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা আসলেই বর্ষা ও পুজো আসছে বলে অনুভূতি হয়। ইতিমধ্যে প্রতিবছরের মতো এববছর বিভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ী পাখিরা এসে বাসা বেঁধেছে গ্রামের গাছের ডালে। এই চিত্র দেখে খুশি গ্রামবাসী থেকে পাখি প্রেমীরা।এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন মে মাসের শুরুতে পরিযায়ী পাখিগুলি গ্রামের ডালে বাসা বাঁধে, ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা দেয় এবং বড় হওয়ার পর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রওনা দেয় তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।গ্রামবাসীরা মনে করেন এগুলি সমস্ত সামুদ্রিক পাখি, সমুদ্র উপকূল দেখতে পাওয়া যায় পাখিগুলোকে। তবে বর্ষা নামলেই এরা ঝাড়গ্রামে চলে আসে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা এদের নাম রেখেছে শ্যামকল। যাদের দেখতে দূর দূরান্ত থেকে গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।
বেশ কয়েকবছর শ্যামকলদের চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর নড়েচড়ে বসে বনদফতর, পাখিগুলিকে দেখভালের জন্য এলাকার যুবকদের হাতে তুলে দেয়া হয় টর্চ লাইট আরো বেশ কিছু সরঞ্জাম। যার ফলে পাখি চোরদের ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন স্থানীয় যুবকরা। এলাকাবাসীর দাবি কেন্দুয়া গ্রামে পর্যটকদের থাকার জায়গা গড়ে তোলা হলে। এলাকায় উন্নয়ন হবে এবং এলাকার যুবক-যুবতীরা উপার্জনের দিশা খুঁজে পাবেন। তবে কবে এই দাবি পূরণ হবে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কেন্দুয়ার গ্রামবাসীরা।