
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, বসিরহাট : পরিবেশকে বাঁচিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে চিত্র প্রদর্শনীকে বেছে নিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কচিকাঁচারা। বিশ্ব উষ্ণায়নে জেরবার গোটা পৃথিবী। সুদূর আন্টার্টিকা থেকে শুরু করে উত্তর মেরু সর্বত্রই বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে হিমবাহ গুলি গলতে শুরু করেছে। যার ফলে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। আর এই সমুদ্রের জলস্তর বাড়াতে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলির কপালে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান এর মতো দেশ সহ ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার সমুদ্র তীরবর্তী একাধিক দেশ চিন্তায় রয়েছে। কারণ সমুদ্রে জলস্তর যে হারে বাড়ছে তাতে সমুদ্র তীরবর্তী এই দেশ বা দেশের শহরগুলি আগামী দিনে জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতাও জারি করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
তাই জল অপচয় বন্ধ করে বৃক্ষচ্ছেদন রুখে পরিবেশ বাঁচিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে চিত্র প্রদর্শনীকে বেছে নিল সীমান্তের এক দল কচিকাঁচা। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ইটিন্ডা শিবতলায় ইছামতি নদীর পাড়ে এক অভিনব চিত্র প্রদর্শনীর দেখা মিলল। একজন ক্ষুদে শিল্পী জানায় পরিবেশ যেসব দূষণ হচ্ছে এছাড়াও ইছামতি নদীতে যা দূষণ হচ্ছে সেগুলো যাতে না হয় সেই কারণেই আমরা আঁকছি।
চিত্রশিল্পী তথা অঙ্কণ প্রশিক্ষক নবকুমার সরকারের উদ্যোগে একদল খুদে শিল্পীরা বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপরে চিত্র প্রদর্শনী করলেন। উদ্যোক্তা নবকুমার সরকার বলেন, “যেভাবে শিশুরা এখন মোবাইল বন্দি জীবন কাটাচ্ছে সেখান থেকে তাদের বার করে জীবনের আনন্দ নিতে আঁকা এক অন্যতম পন্থা। এই চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
গাছ কাটলে বা জল অপচয় করলে কিভাবে তা পরিবেশের ক্ষতি করে বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটবে ? পাশাপাশি কিভাবে জল অপচয় বন্ধ করতে হবে, কিভাবে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে সেই সমস্ত ছবি ফুটে ওঠে এই অঙ্কন প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে।