
ওঙ্কার ডেস্ক:বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতে শুরু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসব। প্রথা মেনে মঙ্গলবার সকালে প্রথমে কোর্ট বৈঠক হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতে কোর্ট বৈঠকে তারই মনোনীত প্রতিনিধি জিতেন্দ্রনাথ রায় উপস্থিত ছিলেন। শেষমেশ বোসের সেই ‘দূত’, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত, সহ-উপাচার্যের উপস্থিতিতে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কোর্ট বৈঠক শুরু হয়। তার পর নির্দিষ্ট সময়েই ওপেন এয়ার থিয়েটারে সমাবর্তন শুরু হয়। সোমবার রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আইনের খুঁটিনাটি তুলে ধরে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের আচরণ আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করা হয়। এমনকি, বেআইনি কাজ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের ডিগ্রির বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে বলেও দাবি করা হয়। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে সমাবর্তন ঘিরে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দেন।
পদাধিকার বলে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।যাদবপুরের সমাবর্তন নিয়ে রাজভবন থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ‘স্ট্যাটিউট’ (বিধি)লঙ্ঘন করে তাড়াহুড়ো করে সমাবর্তনের আয়োজন করছে। বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’ বলে অ্যাখা দেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে তিনি জানান যে, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে কিছু দিনের মধ্যেই। তারপরই সমাবর্তন করা ভালো। তাড়াহুড়োয় সমাবর্তন করা হলে ডিগ্রি প্রাপকদের সমস্যা হতে পারে বলে জানানো হয়। গত বছর সমাবর্তন ঘিরেও চূড়ান্ত বিতর্ক দেখা দেয়। রাজ্যপাল সমাবর্তন করতে বারণ করেন। তৎকালীন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সেই আপত্তি গ্রাহ্য না-করে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে সমাবর্তনের আয়োজন করেন। সমাবর্তনের ঠিক আগের রাতে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। তার পরেও রাজ্য সরকারের অনুমতিকে গুরুত্ব দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করেন বুদ্ধদেব। এবারেও বজায় থাকল সেই সংঘাত।