
অবশেষে রাজ্যপালের মধ্যরাত্রে কড়া নাড়ার বৃত্তান্তের রহস্য ফাঁস হলো। রাজভবন সূত্রের খবর শনিবার একটু বেশি রাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ বন্ধ খামে দুটো চিঠি পাঠিয়েছেন। একটি দিল্লিতে। অন্যটি নবান্নে।
উল্লেখ্য তার আগে শনিবারই রাজ্যপাল মুখ্য সচিব কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।
রাজ্যপাল মুখ বন্ধ খামে কি চিঠি পাঠালেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকের বক্তব্য রাজ্যপাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং শিক্ষা অঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন কেন্দ্রকে। এই রিপোর্টে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের সুপারিশও থাকতে পারে বলে অনুমান। উল্লেখ্য কেন্দের হস্তক্ষেপ মানে ৩৫৬ ধারা নয়। সংবিধানে একাধিক ধারা রয়েছে যাতে রাজ্য সরকার থাকাকালীন ও কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করবার সুযোগ তৈরি করে নেয়া যায়। উল্লেখ্য শিক্ষায় রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন রাজ্যপাল মুহাম্মদ বিন তুঘলকের মতো আচরণ করছেন। পাল্টা উত্তর এ রাজ্যপাল বলেছিলেন আজকে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।দেখুন কি হয়।ব্রাত্য বসু তৎক্ষণাৎ তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া সামাজিক মাধ্যমে বলেছিলেন, ভ্যাম্পায়ার থেকে সাবধান। পুরান মতে মধ্যরাত্রে রাক্ষসরা জেগে ওঠে।
তারপরে ই রাজ্যপালের মধ্যরাত্রে বন্ধ খাম পাঠিয়ে দিল্লির দরজায় কড়া নাড়ার বার্তা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকের বক্তব্য আমাদের বর্তমান রাজ্যপাল আর যাই হোক কোনো ইস্যুতেই মুখ বন্ধ রাখবার পাত্র নন। কি এমন সুপারিশ গেল যা গোপনীয়তার প্রয়োজনে মুখ বন্ধ খামে পাঠাতে হলো?