
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ থামার কোনও সম্ভবনাই নেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও রাজ্য প্রশাসন বিশেষত শিক্ষা দফতরের দ্বৈরথ। ধনকরের সময়ে নবান্ন-রাজভবনের সংঘাতও ছাড়িয়ে যাচ্ছে, বোসের সময়কালে। ইতিমধ্যে মধ্যরাতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। বোসের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে রাজ্যপালের কথা শুনলে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এভাবে উপাচার্য নিযোগ নিয়ে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যপালকে বিন তুঘলক বলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যকে পালটা চ্যালেঞ্জ করে শনিবার রাজ্যপাল বলেন,দেখুন না মধ্যরাতে কী হয়। রাজ্যপালের মন্তব্যের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নেন নি শিক্ষামন্ত্রী। অধুনা টুইটার বর্তমানে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর কটাক্ষ, সর্তক থাকুন শহরবাসী,শহরে নতুন ভাম্পায়ার। রাক্ষস প্রহরের জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা।
রাজ্য-রাজ্যপালের এই সংঘাত এই নতুন নয়,বাম আমলে গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর সঙ্গে সংঘাত দেখা গিয়েছিল। তৃনমুল আমলে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর রাজ্যের সংঘাতের ফলে পদ্মপাল বলেও মন্তব্য করতেন তৃনমুল নেতারা। কিন্তু একদা যার হাতে খড়ির অনুষ্ঠানে মধ্যমণি হয়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর সরকারের সঙ্গে যে এমন দ্বৈরথ হতে পারে আনন্দ বোসের সঙ্গে তাও এত দ্রুত,বোধহয় কেউ ভাবে নি।