
নিজস্ব সংবাদদাতা, ওঙ্কার বাংলা : হাওড়ার বেলগাছিয়া কাণ্ডের দায় সারতে ঘাড় পাততে হল কলকাতাকে। সূত্রের খবর, এবার থেকে রোজ হাওড়ার ৩০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল এনে ফেলা হবে কলকাতার বায়পাস লাগোয়া ধাপার মাঠে। কলকাতা পুরসভার তরফে জানান হয়েছে, ২০২৪ সাল থেকে পানিহাটির জঞ্জালও ধাপায় ফেলা হচ্ছে। এবার প্রতিবেশী পুরসভার জঞ্জালের চাপও বাড়ল কলকাতার উপর।
বেলগাছিয়ার ভাগাড় এলাকায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। রাতারাতি বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। আকাশের নীচে ত্রিপল খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, ঘরবাড়ি নিয়েও অনিশ্চয়তা। পরিস্থিতির সামাল দিতে ছুটে আসতে হয় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। মন্ত্রীকে এতদিন পর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। অগত্যা জঞ্জালের ভার কমাতে মঙ্গলবার তড়িহড়ি এই সিদ্ধান্ত নেয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। হাওড়ার বাকি ২৫০ টন বর্জ্য আপাত ফেলা হবে বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকায়।
পুরসভা সূত্রের খবর, হাওড়া থেকে আসা বর্জ্য আপাতত ধাপার জৈব সার কারখানায় ফেলা হবে। সেখানে জঞ্জাল পুনর্নবীকরণের কাজ হবে। তবে যেভাবে কলকাতার ধাপায় আবর্জনার চাপ বাড়ছে তাতে আর কতদিন অন্যান্য পৌর এলাকার জঞ্জালের বোঝা সামলানো যাবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পুরসভার এক কর্তারা তাকিয়ে আছেন কবে শেষ হবে রাজারহাটের পাথরঘাটায় নতুন প্রসেসিং ইউনিট তৈরির কাজ। আপাতত চাপটা সামলাতে হচ্ছে ধাপাকেই। বর্তমানে বিধাননগর, নব দিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি, নিউ টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি এবং পানিহাটি মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন জঞ্জাল রোজ জমা হচ্ছে ধাপায়। এবার তাতে যোগ হল হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার প্রতিদিনের জঞ্জালও।