
সম্পূর্ণা সেনগুপ্ত ওঙ্কার ডেস্ক: আজীবন সুস্বাস্থ ধরে রাখার ম্যাজিক মন্ত্র হল নিয়মিত শরীরচর্চা এবং তার সাথে একটি সুষম খাদ্য তালিকা। শরীরকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে ফাইবার একান্ত আবশ্যক। ফল, সবজি, আনাজপাতি, বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। তবে, কী ধরনের ফাইবার খাবেন, কতটা খাবেন, তা নির্ভর করছে আপনার শরীরের উপর।
ফাইবার কী?
প্রায়শই ডাক্তারেরা দৈন্দিন খাদ্য তালিকায় অধিক মাত্রায় ফাইবার রাখতে পরামর্শ দেন। কিন্তু, এই ফাইবার আসলে কী? অনেকেই হয়ত বিষয়টা ঠিক জানেন না। ফাইবার মূলত খাবারের আঁশ অথবা রাফ অংশ, যা পরিপাক এনজাইম দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ভাঙা যায় না। অর্থাৎ খাদ্যের কিছু অপাচ্য আঁশ জাতীয় অংশই ফাইবার। ফাইবার, কিন্তু হজম করা যায় না। পেট ভরানো এবং পেট পরিষ্কার করাই এর মূল কাজ। মলের মাধ্যমে ফাইবার শরীরের বাইরে বেড়িয়ে যায়, ফলে ফাইবার জাতীয় খাদ্য, আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রকে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
কোন কোন খাবারে থাকে ফাইবার?
ফাইবারকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। দ্রাব্য ফাইবার, এবং অদ্রাব্য ফাইবার। দ্রাব্য ফাইবারের মধ্যে ওটস, বার্লি, আপেল, কমলালেবু ইত্যাদি সহজপাচ্য এবং রোজের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন অনায়াসেই। দ্রাব্য ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, অদ্রাব্য ফাইবার পেট পরিষ্কারে বিশেষ উপকারী। যেমন, আটা, বাদাম, বীজ, সবজি ইত্যাদি।
রোজ কতটা ফাইবার খাবেন?
বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ গ্রাম এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন ৩৮ থেকে ৪০ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন। তবে, যে কোনো খাদ্যাভ্যাস শুরুর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
মনে রাখুন
হুট করে হাই ফাইবার ডায়েট শুরু করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে খাদ্যতালিকায় ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, ফিশারের মতো সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে অবশ্যই রোজকার ডায়েটের অবশ্যই ফাইবার রাখতে হবে। এতে বাওয়েল মুভমেন্ট স্বাভাবিক থাকে।