
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সিঙ্গেল বেঞ্চের পর এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদনপত্র বাতিল হওয়া ১২ হাজার পদপ্রার্থীর। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীরর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে দিলেন। এর আগে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চও মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।শুধুমাত্র স্নাতকে অনার্সে ৫০ শতাংশ নম্বর আবেদনপত্রে উল্লেখ করায় পাশ সাবজেক্টের নম্বর উল্লেখ না করায় মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে ১২ হাজার জনের আবেদনপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল আবেদনপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। শনিবার সেই মামলার শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আবেদনকারীদের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। মাদ্রাসা বোর্ডের বক্তব্য ছিল, বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক স্তরে পাস এবং অনার্সে প্রাপ্ত মোট নম্বরের ৫০ শতাংশ চাওয়া হয়েছে। তাই যারা শুধুমাত্র অনার্সের নম্বর দিয়েছেন, পাশের প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ করেননি আবেদনপত্রে, তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবীর পাল্টা বক্তব্য, অনার্স স্নাতকে অনার্সের নম্বরই গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি যে, যারা অনার্স স্নাতক তাদের পাস সাবজেক্টের প্রাপ্ত নম্বরও আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে। তাই তাদের আলাদা করে অন্য দিনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর সহ বিএড থাকতে হবে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও বলা হয়নি যে পাশ ও অনার্সের মোট প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি থাকতে হবে।