
সুনন্দা দত্ত, হুগলি : হুগলির উত্তরপাড়ার কানাইপুরের ছোট্ট শিশু স্নেহাংশু শর্মার নৃশংস হত্যা কান্ডের এখনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি কাউকে।ক্রমশই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।প্রসঙ্গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর পাড়ায় ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের ঘরেই কুপিয়ে খুন হতে হল এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র স্নেহাংশু শর্মা। তার বাবা পঙ্কজ শর্মা কলকাতার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। মা কাজ করেন একটি কসমেটিক এর দোকানে। স্নেহাংশুর খুড়তুতো বোন ঘরে ঢুকতেই দেখে ভয়ঙ্কর দৃশ্য. রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দাদা। তারপর তার চিৎকার শুনে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বাচ্চাটিকে তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রশাসন সুত্রে খবর, ছাত্রটির গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার বাবার দাবি, ইট, ছুড়ি, টুল এমনকি ঠাকুরের মূর্তি দিয়েও আঘাত করা হয়েছে ছেলেকে। তিনি আরও বলেন, সেই সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না তাও জোরে টিভি চলছিল, যা শুনে খটকা লাগাই স্বাভাবিক
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়ার পুলিশ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন. ফরেনসিক দলেরও আসার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি.
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রকে কে এমন নৃশংসভাবে খুন করতে পারে ভেবে পাচ্ছেন না পরিবার। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।