
ওঙ্কার ডেস্ক : দেশে রঘুবংশী খুনের প্রেক্ষাপটেই ফের ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুনের ঘটনা সামনে এসেছে ত্রিপুরার ইন্দ্রনগর থেকে। ১১ জুন আগরতলা থেকে পুলিশের একটি দল গন্ডাছড়ার একটি দোকাকনের আইসক্রীম ডীপফ্রিজার থেকে মৃত শরিফুল ইসলামের(২৮) দেহ উদ্ধার করেছে। তদন্তের পর মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে শরিফুলের প্রেমিকা নবনীতা দাসকেও হেফাজতে নিয়েছে এনসিসি থানার পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই নবনীতা তাঁর প্রেমিক ড. দিবাকর সাহা আরও ৪ জনের সঙ্গে শরিফুল ইসলামকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে জানালেন পশ্চিম ত্রিপুরা থানার সুপার কিরণ কুমার।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত শরিফুল ইসলাম স্মার্ট সিটিতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী ছিলেন। ৮ জুন রাতে ইন্দ্রনগরের যুবক শরিফুল ইসলামকে তাঁর বন্ধু ডা. দিবাকর সাহা বাড়ি থেকে ডেকে আনেন। শরিফুল যখন দক্ষিণ ইন্দ্রনগরের জয়দ্বীপ দাসের বাড়িতে পৌঁছান, তখন সেখানেই উপস্থিত ছিলেন প্রেমিকা নবনীতা দাস ও অনিমেষ যাদব নামের আর এক ব্যক্তি। পুলিশ সুপার ডঃ কিরণ কুমার জানান, তাঁদের সামনেই দিবাকর সাহা শ্বাসরোধ করে শরিফুলকে হত্যা করেন। তারপরই ড. দিবাকরের বাবা দীপক সাহা ও মা দেবিকা সাহা ট্রলি ব্যাগে ভরে ঐ দেহ গন্ডাচেরায় তাদের দোকানের আইসক্রীম ডীপ ফ্রিজারে ভরে রাখেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ত্রিকোণ প্রেমের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
তদন্তের পর পুলিশ নবনীতা দাস, ড. দিবাকর সাহা, জয়দ্বীপ দাস, অনিমেষ যাদব, দীপক সাহা ও দেবিকা সাহাকে গ্রেফতার করেছে। দীর্ঘ অনেক দিন থেকেই সম্পর্কে ছিলেন শরিফুল ও নবনীতা। কিন্তু এক আত্মীয় ড. দিবাকর সাহার সাথেও প্রেমে জড়িয়ে পরেছিলেন নবনীতা দাস। এই ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই শরফুলকে মারার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। অভিযুক্তদের আজ আদালতে পেশ করবে পুলিশ।