
ওঙ্কার ডেস্ক : জেলে বন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার মাঝেই চাঞ্চল্যকর দাবি, জেলে নাকি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি ! একাধিক সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট ঘিরে তীব্র আলোড়ন। যদিও এই রিপোর্টের সত্যতা এখনও সরকারি ভাবে নিশ্চিত হয়নি, না ইমরানের পরিবার, না আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলেছেন।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই তথাকথিত মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, গত ৩ মার্চ রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা জেল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ইমরান খানকে। চিকিৎসা চলে পাকিস্তান এমিরেটস মিলিটারি হাসপাতালে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নের পাশাপাশি, রিপোর্টে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনেরও প্রমাণ মিলেছে তাঁর দেহে। এই রিপোর্ট সেনার সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
তবে এই রিপোর্টের কোনো সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডন-এর একটি স্ক্রিনশটও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এই রিপোর্টের উল্লেখ রয়েছে। তবে ‘দ্য ডন’-এর তরফে এই সংক্রান্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি।
২০২৩ সালের ৫ আগস্ট, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। প্রথমে তাঁকে রাখা হয় পাঞ্জাবের অটোক জেলে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা জেলে।
এর আগেও জেলে তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও সমর্থকরা। ইমরান নিজেও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে জঙ্গিদের সেলের মতো জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে, এবং তাঁর সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে ও সমাজে চরম তোলপাড়। সত্যতা যাচাই না-হলেও, একাংশের মতে, এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অন্যদিকে অনেকে বিষয়টিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
সরকার বা সেনার পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই অভিযোগ নতুন করে আগুনে ঘি ঢালতে পারে।