
ওঙ্কার ওয়েব ডেস্ক: সোমবার আরজি করের মর্মান্তিক তিলোত্তমা-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। ইতিমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সোমবার সঞ্জয়ের কী সাজা হয় তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সঞ্জয়ের মায়ের ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়েছে। মায়ের নাম মালতী রায়। বয়স ৭০ বছর। মালতীদেবী বলেছেন, যদি আদালত ছেলেকে ফাঁসির সাজা দেয়, সেক্ষেত্রে আমার কোনও আপত্তি নেই। পুত্রহারা হলে একা একা চোখের জল ফেলবো। সঞ্জয়কে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিলে ধরে নেব তা আমার নিয়তি।
কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের বাড়িতে থাকেন মালতীদেবী। একছেলে সঞ্জয় ছাড়াও তিন কন্যার মা তিনি। প্রসঙ্গত, তিলোত্তমা-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের সঙ্গে লক আপে গিয়ে কখনও দেখা করেননি মালতীদেবী। এদিন মালতীদেবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। আরও জানান, তিলোত্তমার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তিলোত্তমার মায়ের যন্ত্রণা উপলব্ধি করছেন তিনি।
মালতীদেবীর তিন কন্যার মধ্যে একজনের কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুই কন্যা বিবাহিত। এঁদের মধ্যে একজন কলকাতার বাসিন্দা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় রায়ের এক দিদি জানিয়েছেন, ছেলেবেলায় সঞ্জয় আর পাঁচজনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। সঞ্জয়ের দিদি নিজের নামপ্রকাশ করেননি।
কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় মায়ের সঙ্গে থাকত না। সে একা পৃথকভাবে থাকত। সঞ্জয়ের দিদি এদিন আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমের খবরে তিনি দেখেছেন সঞ্জয় একা অপরাধ করেনি। তিলোত্তমা-কাণ্ডে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের সামনে আনা উচিত।