
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে এই দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কখনও পদপিষ্ট হয়ে পুণ্যার্থীদের মৃত্যু হচ্ছে। কখনও আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে আগেই বিরোধীরা উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহাকুম্ভের কথা বলে লাভ নেই। ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে। মহাকুম্ভকে আমি সম্মান জানাই। কিন্তু প্ল্যান না করে একটা কুম্ভ করলেন! কত মানুষ মারা গেছে! বড় লোকেদের জন্য ভিআইপি ক্যাম্প। আর গরিবদের জন্য কিছু না। আপনারা মহাকুম্ভের জায়গাটা বিষাক্ত করেছেন।’
বিধানসভা থেকে সোমবার সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ চার বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা। সেই বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পাশাপাশি তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, দেশের ৪০ কোটি হিন্দ পুণ্যার্থী স্নান করেছেন সঙ্গমস্থলে। সেই মহাকুম্ভকে অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।