
ওঙ্কার ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়ার পর একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ট্রাম্পের যে সিদ্ধান্ত সেটি হল বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর শুল্ক চাপানো। বহু দেশ এটিকে বাণিজ্য যুদ্ধ হিসেবে দেখেছিল। চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক তখন থেকে আরও তলানিতে গিয়ে পৌঁছয়। অবশেষে সেই শৈত্য কাটিয়ে মুখোমুখি হতে চলেছেন ট্রাম্প এবং শি জিনপিং। চিনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হয়েছে ট্রাম্প জিনপিং এর। হোয়াইট হাউসের উদ্যোগেই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে চিনের সরকারি প্রচারমাধ্যম। সেই ফোনালাপের পর সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, দু’জনের মধ্যে খুব ভাল কথা হয়েছে। আলোচনায় বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিবাচক দিক উঠে এসেছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘উনি আমাকে চিনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমিও ওঁকে এখানে আসতে বলেছি। আমরা দু’জনেই একে অপরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। আমি ফার্স্ট লেডিকে সঙ্গে নিয়েই কখনও চিনে যাব। আশা করি, উনিও চিনের ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল চিনের পণ্যের উপরে অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা শুল্ক চাপানোর পথে হাঁটে বেজিং। দুই দেশের মধ্যে ক্রমশ তপ্ত হতে থাকে সম্পর্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। এর পরে কয়েক দফায় আরও শুল্ক চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। তাতে সবমিলিয়ে শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশ। সেই আবহে গত মাসেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। সূত্রের খবর, শুল্ক নিয়ে আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। ওই বৈঠকের পরে বেজিং ও ওয়াশিংটন ৯০ দিনের জন্য শুল্কযুদ্ধ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।