
ওঙ্কার ডেস্ক : প্রত্যাঘাত সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত থামব না, দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমান এবং কাতারকে সাফ জানিয়ে দিল ইরান। পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। সমানেই চলছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। উভয় পক্ষের মারমুখী আচরণে ক্ষেপণাস্ত্রে ছেয়ে গিয়েছে দুই দেশের আকাশ। ইরানের অনড় অবস্থানের কারণে পশ্চিম এশিয়ার সংঘাত আরও তীব্র হতে চলেছে, এগোচ্ছে ঘোর যুদ্ধ পরিস্থিতিরে দিকে, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘‘কাতার এবং ওমানের মধ্যস্থতাকারীদের ইরানিরা জানিয়ে দিয়েছেন, ইজ়রায়েলের হামলার প্রত্যাঘাত সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই আলোচনায় বসার কথা ভাবা হবে। তার আগে নয়।’’ অন্যদিকে, ইজ়রায়েলের হামলাও অব্যাহত। এই হামলার মুখে কোনও সমঝোতা করা হবে না। ইরানে হামলার চেহারা আরও প্রগাঢ় হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
আমেরিকার সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছিল তাতে সম্মতি দেয়নি ইরান। ইরান মনে করছে, এরই বদলা হিসেবে ইজ়রায়েলের এই হামলা। বস্তুত, ইজরায়েলের এই হামলাকে সমর্থন করছে আমেরিকাও। হামলার পর ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ইজ়রায়েলের জন্য তারা ‘নরকের দুয়ার’ খুলে দেবে। তার পর থেকে চলছে এই অবিরাম সংঘাত। ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে ইজরায়েলের তেল আভিভ, জেরুসালেমে। যদিও ইজরায়েল সেনাবাহিনীর দাবি, অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই আটকে দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ইরানি হামলায় ১০ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে ইজ়রায়েল। তবে ইরান জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলের হামলার কারণে তাদের অন্তত ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৯০ শতাংশই সাধারণ নাগরিক।
ইরানের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনোরকম সমঝোতার কথা ভাবছে না তেহরান। সম্প্রতি ওমানে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আমেরিকা এবং ইরানের আধিকারিকদের যে আলোচনায় বসার কথা ছিল, তা ইজ়রায়েলি হামলার মুখে বাতিল হয়ে গিয়েছে।